বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, বিক্ষোভকারীদের পরিবারগুলোকে ইরানের প্রশাসন নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলেও দাবি করেছে আইএইচআর। বেসরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে চলমান বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ৪৭৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। যাদের মধ্যে ৬৪ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং ৩৪ জন নারী রয়েছেন।
নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে থাকা ২২ বছর বয়সী কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে ইরান। দেশজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তা রূপ নেয় সরকারবিরোধী আন্দোলনে। বিক্ষোভকারীদের ওপর দমনপীড়ন শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। এবার চলমান আন্দোলনে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ এনেছে নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটস আইএইচআর।
মানবাধিকার সংগঠনটির বরাত দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি। এতে বলা হয় মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে কিংবা গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে এমন অন্তত ১০০ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছে আইএইচআর। এদের মধ্যে অনেকেরই সাজা হয়েছে আবার কেউ কেউ বিচারাধীন আছেন। ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছ থেকে এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে ওই নামগুলো সংগ্রহ করেছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনটি।
তবে মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত বিক্ষোভকারীর সংখ্যা আরও বেশি বলে জানিয়েছে আইএইচআর কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে মুখ না খুলতে সাজাপ্রাপ্তদের পরিবারকে ইরানের প্রশাসন নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলেও দাবি করেছে সংগঠনটি।
আইএইচআর পরিচালক মাহমুদ আমিরি মোগাদ্দাম জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ড দিয়ে বা কারও কারও দণ্ড কার্যকর করে (কর্তৃপক্ষ) মানুষকে ঘরে ফিরে যেতে বাধ্য করতে চায়।
আইএইচআরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ৪৭৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। যাদের মধ্যে ৬৪ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং ৩৪ জন নারী। অন্যদিকে ইরানের সরকারি তথ্য বলছে সহিংস এই বিক্ষোভে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২০০।
Leave a Reply