1. admin@kishorganjeralo.com : kishorganjeralo.com :
  2. admin@shadinota.net : shadinota net : shadinota net
নোটিশ :
গাজায় নৃশংসতা: ইসরায়েলি সঙ্গীতের সময় পিঠ দেখিয়ে ইতালীয়দের প্রতিবাদ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চার ‘হাতিয়ার’: হামলা, মামলা, হুমকি, মব বিভাজন আর বিভক্তি যেন জাতীয় পার্টির নিয়তি আগামী মন্ত্রীদের জন্য ৬০টি গাড়ি কেনার প্রস্তাব বাতিল ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সেবাস্তিয়ান লেকোর্নু কাতারে ইসরায়েলি বিমান হামলা, যা বললেন তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচন ছাত্রশিবিরের সাদিক ভিপি, ফরহাদ জিএস, মহিউদ্দীন এজিএস নির্বাচিত ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করলেন আবিদ নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জেন-জিদের পছন্দ র‍্যাপার থেকে রাজনীতিক হওয়া বালেন একীভূত হওয়া ব্যাংকগুলোতে আমানতকারীদের অর্থ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে : অর্থ উপদেষ্টা
ব্রেকিং নিউজ :
গাজায় নৃশংসতা: ইসরায়েলি সঙ্গীতের সময় পিঠ দেখিয়ে ইতালীয়দের প্রতিবাদ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চার ‘হাতিয়ার’: হামলা, মামলা, হুমকি, মব বিভাজন আর বিভক্তি যেন জাতীয় পার্টির নিয়তি আগামী মন্ত্রীদের জন্য ৬০টি গাড়ি কেনার প্রস্তাব বাতিল ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সেবাস্তিয়ান লেকোর্নু কাতারে ইসরায়েলি বিমান হামলা, যা বললেন তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচন ছাত্রশিবিরের সাদিক ভিপি, ফরহাদ জিএস, মহিউদ্দীন এজিএস নির্বাচিত ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করলেন আবিদ নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জেন-জিদের পছন্দ র‍্যাপার থেকে রাজনীতিক হওয়া বালেন একীভূত হওয়া ব্যাংকগুলোতে আমানতকারীদের অর্থ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে : অর্থ উপদেষ্টা

রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা ও সরকারের করণীয়

  • আপডেট সময় : শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৭৩ বার পঠিত

কূটনীতিকদের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের জন্য স্পর্শকাতর বিষয়ে সরকারকে আরও কৌশলী হতে বলেছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা৷

একজন রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব৷ মন্ত্রীরা যাই বলুন না কেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের শাহীনবাগে যাওয়ার বিষয়টি সরকার আগে থেকেই জানতো৷ সেখানে যেন কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেটা আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার ছিল৷ সরকার বিষয়টি যেভাবে দেখভাল করেছে তা সঠিক হয়নি বলেই মনে করছেন কয়েকজন সাবেক কূটনীতিক৷ এতে বিভেদ বেড়েছে, গণতন্ত্রের কোন লাভ হয়নি৷

বাংলাদেশে ‘গুম’ হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত ‘মায়ের ডাক’ নামের একটি সংগঠনের সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলির শাহীনবাগের বাসায় গত ১৪ ডিসেম্বর গিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস৷ সেখানে বাইরে অবস্থান করছিলেন ‘মায়ের কান্না’ নামের পৃথক একটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা৷ ‘মায়ের কান্না’ হলো ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর বিদ্রোহ দমনের নামে বিমানবাহিনীর সহস্রাধিক সদস্য ‘গুমে’র ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সংগঠন৷ তুলির বাসায় ২৫ মিনিট অবস্থান করে বের হওয়ার পর অনেকটা ধস্তাধস্তির মধ্যে পড়েন মার্কিন দূত৷ এতে তিনি ক্ষুব্ধ হন৷ দ্রুত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়ে মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন৷

মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে যে ঘটনাটি ঘটেছে তার ব্যাখা দিতে গিয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত সাইফুল ইসলাম সবুজ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘একজন কূটনীতিক যে দেশে থাকেন সেখানে তিনি যে কোন কাজ করতে পারেন৷ আপনার তার কাজ পছন্দ না হলে আপনি তাকে বের করে দিতে পারেন৷ আইনে তাকে সেই সুরক্ষা দিয়েছে যে, সে দিনে দুপুরে খুন করলেও আপনি তাকে কিছু করতে পারবেন না৷ বিদেশি কূটনীতিকরা যে দেশে যান তার নিজের দেশের সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ও তার দেশের বৈদেশিক নীতি যেগুলো আছে সেটা দেখা তার দায়িত্ব৷ ট্রাম্প যাওয়ার পর বাইডেন প্রশাসনের কাছে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে৷ এখানে তো বিদেশি কূটনীতিকরা নিয়মিত কথা বলেই যাচ্ছেন৷ এই কথা বলা তো ভিয়েনা কনভেশন পারমিট করে না৷ কোনটা বাংলাদেশ সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য আর কোনটা গ্রহণযোগ্য না সেটা দেখার অধিকার কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের আছে৷ কেউ বেশি করে ফেললে সরকার তাকে বের করে দিতে পারে৷ কিন্তু এখানে তো তেমন কিছু হয়নি৷ মার্কিন রাষ্ট্রদূত তো মানবাধিকার দেখতে গেছেন৷ তার কাজ আপনার পছন্দ না হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে ডাকতে পারেন৷ মার্কিন রাষ্ট্রদূত যে ওইদিন সেখানে গেছেন সেটা তো সরকার জানত৷ তার সঙ্গে তো বাংলাদেশের সিকিউরিটি থাকে৷ সরকার তার যাওয়াটাকে পছন্দ করেনি৷ সরকারের উচিৎ ছিল, তার সঙ্গে কথা বলা৷ তার যাওয়াটাকে বাংলাদেশ সরকার যেভাবে হ্যান্ডেল করেছে সেটা আমার কাছে সঠিক মনে হয়নি৷’’

তার যাওয়াটাকে বাংলাদেশ সরকার যেভাবে হ্যান্ডেল করেছে সেটা আমার কাছে সঠিক মনে হয়নি: সাইফুল ইসলাম সবুজ

যে দিনটাতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ওই বাসায় গেছেন, সেটা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন৷ কেন তিনি এই দিনটাতেই সেখানে গেলেন? জানতে চাইলে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘১৪ ডিসেম্বর নিয়ে যে কথা হচ্ছে, সেটা আমরা বলতে পারি৷ কিন্তু সেটা তো উনার স্বাধীনতার প্রশ্ন৷ আমরা তো উনাকে বলতে পারি না উনি কোথায় যাবেন৷ তবে হ্যাঁ, উনি যদি সকালে বধ্যভূমিতে গিয়ে তারপর ওখানে যেতেন তাহলে হয়ত সেটা শোভন দেখাতো৷ তবে উনি কোথায় যাবেন বা যাবেন না সেই সিদ্ধান্ত তো আমরা দিতে পারি না৷’’ জনাব হোসেন বলেন, কোন কূটনীতিক অভিযোগ শুনতে যেতে পারেন কিনা সেটা বলা কঠিন৷ তবে নিষিদ্ধ নয় কোন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ বা তাদের বাসায় যেতে কূটনীতিকদের কোন বাধা নেই৷

কেন আমাদের বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে যেতে হয়? জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘‘এর দু’টো কারণ আছে৷ এক. এটা আমাদের পুরনো রোগ৷ আমরা দীর্ঘদিন থেকেই এটাতে অভ্যস্ত৷ আমাদের এখানে নির্বাচন যখন হয়েছেও তখনও কিন্তু পরিপূর্ণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি৷ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখানে সবসময়ই দুর্বল ছিল৷ অনেক সময় মানুষ যখন প্রতিকার পায় না, তখন খড়কুটো ধরে বাঁচার মতো তাদের কাছে যায়৷ যেহেতু গণতন্ত্র বা মানবাধিকারের ব্যাপারে তারা সোচ্চার, কাজেই অনেকে মনে করেন তাদের কাছে বললে সুরাহা হতে পারে৷ আর দুই. যখন সরকারের কাছ থেকে প্রতিকার পাওয়া যায় না তখন অনেকেই তাদের কাছে যান৷ এটা রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে৷ তবে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে যে ঘটনাটা ঘটেছে সেটা একেবারেই কাঙ্খিত না৷’’

বধ্যভূমিতে না গিয়ে মার্কিন দূতের নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোনের বাসায় যাওয়ার সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের৷ ওই দিনই এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘‘আজ সকালে দেখলাম ২০১৩ সালে ‘গুম’ হওয়া বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায় গেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস৷ আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস৷  রাষ্ট্রদূত বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে গেলে বেশি খুশি হতাম৷ আমরা কিন্তু সিএনএনে দেখেছি যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি মাসে কত মানুষ গুম হয়, কত নারী ধর্ষিত হয়, কত মানুষ খুন হয়৷’’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 shadinota.net
Design & Development By Hostitbd.Com