সেবা বা পণ্যের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে একজন মানুষকে আগের চেয়ে কত টাকা বেশি খরচ করতে হচ্ছে তা পরিমাপের একটি সূচক মূল্যস্ফীতি।
সম্প্রতি এই মূল্যস্ফীতির হিসাব নিয়ে যেন একরকমের লুকোচুরিই করছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। অবশেষে সামনে এল আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের তথ্য। যা এখনো সরকারিভাবে প্রকাশিত না হলেও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জানান, সেপ্টেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১ শতাংশে, আগস্টে যা ছিল ৯ দশমিক ৫ শতাংশ।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের বাইরে নয়। বাংলাদেশেও মূল্যস্ফীতি আঘাত হেনেছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, ঋণের সুদ হার বেধে দেয়ায় অর্থবছরের প্রথম তিন মাসেই বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ছাড়িয়েছে ১৪ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে তাই বাজারে মুদ্রা সরবরাহ কমানোর বিকল্প দেখছেন না তারা।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, মূল্যস্ফীতির লাগামটা টেনে ধরার জন্য বাজারে মুদ্রা সরবরাহ কমাতে হবে। এমন একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আমাদের যদি বাজার ব্যবস্থার কাছে সুদের হার ছেড়ে দেয়া হত তাহলে কিন্তু বাজারের মাধ্যমেই নির্ধারিত হত যে ঋণের সুদের হারটা কেমন হবে।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, আমরা ক্যাপটাকে ধরবই না। অন্যান্য পলিসির রেট বৃদ্ধি করবো। কিন্তু পলিসি রেট বৃদ্ধি করে অ্যাডজাস্টমেন্ট করার খুব বেশি জায়গা নেই। কাজেই ওখানে নমনীয়তা না আনলে ম্যাক্রো যে স্ট্রেসটা আছে একটা চাপের মধ্যে আছে। এটা বিশ্ব পরিস্থিতির উন্নতি হলে কেটে যাবে, আমাদের কিছু না করলেও চলবে, আমরা যে পথে আছি সে পথে থাকলে কোনও অসুবিধা হবে না। এটা ধরে নেয় একটু বিপজ্জনক হবে।
তবে এই মূল্যস্ফীতিকে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করলেও তা নিয়ন্ত্রণে সুদ হার পরিবর্তন করে বাজারে অর্থ সরবরাহ কমানোর কোনও চিন্তাই করছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
চলতি অর্থবছরে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে মূল্যস্ফীতি বেধে রাখার লক্ষ্য সরকারের।
Leave a Reply