সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গবেষণাকে গুরুত্ব দিতে হবে। যারা এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে বাইরে যান তাদের আমরা অর্থসহায়তা দিই। মন্ত্রণালয় থেকেও গবেষণার জন্য সহায়তা দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি আগে ছিল আমাদের খেয়েপরে বেঁচে থাকার অন্যতম অবলম্বন। এখন কিন্তু কৃষি সেখানে সীমাবদ্ধ নেই। কৃষি এখন অর্থকরী ফসল। কৃষিপণ্য রফতানি হয়, সেই রপ্তানি বাড়াতে ও কৃষির বাণিজ্যিক ব্যবহার বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে।
বারোমাসি কাঁঠালের জিনোম সিকোয়েন্স উদ্ভাবনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন উন্নত বিশ্বের মানুষ মাংস খেতে চায় না। মাংসের পরিবর্তে কাঁঠাল খায়। কাঁচা কাঁঠালের বার্গার ও কাবাব হয়। কাঁচা কাঁঠালের বার্গার মাংসের বার্গার বা রোলের চেয়ে দাম বেশি। এ ফলটির কিছু ফেলনা না। সবকিছুই কাজে লাগানো যায়।
পেঁয়াজের সংকট প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এখন বীজ উদ্ভাবনের ফলে বছরে দুবার উৎপাদন করতে পারি। পেঁয়াজ সংরক্ষণে উদ্যোগ নিতে হবে। পেঁয়াজ-রসুন শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায়। এছাড়া পেঁয়াজ ও রসুনের গুঁড়োও হয়।
গৃহপালিত পশু-পাখির যত্ন নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যিকভাবে নানা সুযোগ আছে।
খাদ্য সংকটের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বমন্দার মধ্যেও যেন দেশে খাদ্য সংকট না হয়, এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার।
Leave a Reply