ফের ঋণ পরিশোধে ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২২ সালের শেষ প্রান্তিকের ঋণের কিস্তির ৫০ শতাংশ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করলেই খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবেন না গ্রহীতা।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২২ সালের শেষ প্রান্তিকে প্রদেয় কিস্তির ৭৫ শতাংশের বদলে ৫০ শতাংশ শেষ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করলে সেই ঋণ বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।
সার্কুলারে বলা হয়, সুবিধাপ্রাপ্ত মেয়াদি ঋণগুলো এ বছরের এপ্রিল-ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তি কিংবা অপরিশোধিত অংশ বিদ্যমান ঋণের পূর্বনির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ১ বছরের মধ্যে সমকিস্তিতে (মাসিক ও ত্রৈমাসিক) দেয়া হবে।
তবে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে অবশিষ্ট মেয়াদকালের সঙ্গে বর্ধিত ১ বছরকে বিবেচনায় নিয়ে কিস্তি পুনর্নির্ধারণ করে নতুন সূচি ঘোষণা করা হবে। পরে সে অনুযায়ী তা আদায় করা যাবে। এছাড়া আগের অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতে মোট ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৩৬ হাজার ১৯৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। মোট ঋণের যা ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
Leave a Reply