1. admin@kishorganjeralo.com : kishorganjeralo.com :
  2. admin@shadinota.net : shadinota net : shadinota net
ব্রেকিং নিউজ :

ইউরোপে খোলা আকাশের নীচে রাত কাটানো

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১১২ বার পঠিত

প্রকৃতির কোলে বেশি সময় কাটালে যে শরীর ও মনের উপর চাপ কমে যায়, বৈজ্ঞানিক গবেষণাতেও তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে৷ আয়ারল্যান্ডে এক বিলাসবহুল স্থাপনায় রাত কাটানোর অভিনব ব্যবস্থা রয়েছে৷

গোটা ইউরোপ জুড়ে ক্যাম্পিং গ্রাউন্ডে রাত কাটানোর প্রবণতা বেড়ে চলেছে৷ করোনা মহামারির আগেই উৎসাহ বাড়তে শুরু করেছিল৷ শুধু জার্মানিতেই ২০১৩ সাল থেকে নতুন ক্যাম্পারভ্যানের নথিকরণ প্রায় তিন গুণ বেড়ে গেছে৷ তবে প্রকৃতিপ্রেমিদের জন্য এ ছাড়াও আরও কিছু ভিন্নধর্মী পথ খোলা আছে৷

যেমন জার্মানির উপকূলে কোকুনের আকারের বিচ চেয়ার৷ অথবা সাহসিদের জন্য অস্ট্রিয়ার খাদের উপর ঝোলার ব্যবস্থা৷ সুইজারল্যান্ডের আল্পস পর্বতে বাতিল কেবেল কারের মধ্যে রাত কাটানো বরং বেশি আরামের৷

লিউক ওয়াটারসন ও কেরি ওয়াকার ‘লোনলি প্ল্যানেট’ ট্রাভেল গাইড বইয়ের জন্য দুইশোরও বেশি জায়গায় থেকেছেন৷ লিউক বলেন, ‘‘আমরা আরো এমন সৃজনশীল ‘ব্যাক টু নেচার’ অভিজ্ঞতা খতিয়ে দেখছিলাম৷ ক্যাম্পসাইট ছাড়াও যেখানে খোলা আকাশের নীচে নানা দিক উপভোগ করা যায়৷ যেমন রাখালদের কুঁড়েঘর, অ্যাবার্ডিনশায়ারের ১৯৫০-এর দশকের দমকল ট্রাক অথবা গাছের উপর ট্রিহাউস৷’’

খোলা আকাশের নীচে ইউরোপের অন্যতম বিলাসবহুল থাকার জায়গা ফিন লখ ফরেস্ট হাইডঅ্যাওয়ে৷ নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম হ্রদ লখ আর্নের তীরে কাচের বুদবুদের মতো ‘বাবল ডোম’-এর সমষ্টি এটি৷ গিলিয়ান বেয়ার নিজের ভাইয়ের সঙ্গে মিলে পৈতৃক ক্যাম্পগ্রাউন্ডে সেগুলি গড়ে তুলেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘বাবল ডোমগুলির বৈশিষ্ট্য হলো, সেগুলি পুরোপুরি জঙ্গলের পরিবেশে প্রকৃতির মধ্যে ডুবে রয়েছে৷ অতিথি ও বাইরের জগতের মধ্যে সম্পূর্ণ সংযোগ রয়েছে৷ সকালে ঘুম ভাঙার পর সবার আগে তাঁরা আকাশ, আশেপাশের গাছ দেখতে পান, পাখির ডাক শুনতে পান৷ অন্য কোনো হোটেলের ঘরে প্রকৃতির মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যাবার উপায় নেই৷’’

প্রকৃতির মাঝে অন্যরকম হোটেল

লিউক ওয়াটারসন স্বাস্থ্যের উপর প্রকৃতির কোলে সময় কাটানোর প্রভাব তুলে ধরেন৷ এর বৈজ্ঞানিক প্রমাণও রয়েছে৷ ২০১৭ সালে গবেষকরা সুইডেনের জঙ্গলে পাঁচ জন শহরবাসীর কিছু সময় কাটানোর ব্যবস্থা করেছিলেন৷ মাত্র পাঁচ দিন পরেই তাঁদের শরীরে স্ট্রেস হরমোন ও রক্তচাপের মাত্রা অনেক কমে গিয়েছিল৷ সেই এক্সপেরিমেন্টের জন্য তৈরি কুঁড়েঘরে এখন অন্য অতিথিরাও সময় কাটাতে পারেন৷ লিউক বলেন, ‘‘তখন আপনি আরও মৌলিক বিষয়, অনাবিল আনন্দের প্রতি মনোযোগ দেবেন৷ আশেপাশের গাছপালা, পাখি দেখবেন, প্রাণীদের ও প্রকৃতির শব্দ শুনবেন৷ এবং সেটা করতে গিয়ে এমন আরাম বোধ করবেন, যা আগে কখনো সম্ভব বলে মনে হতো না৷’’

ফিন লখে সময় কাটানোর মাসুল কম নয়৷ রাত-প্রতি কমপক্ষে সাড়ে তিনশো ইউরো গুনতে হয়৷ উচ্চ মানের ‘ব্যাক টু নেচার’ অভিজ্ঞতা মোটেই সস্তার নয়৷ লিউক ওয়াটারসন বলেন, ‘‘জঙ্গলে ক্যাম্পিং আমার খুব ভালো লাগে৷ আমার মতে, প্রকৃতির উপর চোখ বোলানো, জলাভূমি, জঙ্গল ও নদীর সংযোগস্থল খোঁজা, তাঁবু খাটানোর উপযুক্ত জায়গা স্থির করা একেবারে খাঁটি অভিজ্ঞতা৷ কিন্তু তিন দিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টির পর এমন জায়গা পেলে আমি না বলবো না৷’’

প্রকৃতির মধ্যে ডুব দেবার অন্যতম উপায় হলো হ্রদের পানিতে ঝাঁপ দেওয়া৷ কিন্তু নক্ষত্রথচিত আকাশের নীচে বাবল ডোমের মধ্যে আরাম অনেক বেশি৷

হেন্ড্রিক ভেলিং/এসবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 shadinota.net
Design & Development By Hostitbd.Com