1. admin@kishorganjeralo.com : kishorganjeralo.com :
  2. admin@shadinota.net : shadinota net : shadinota net
ব্রেকিং নিউজ :

দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১২২ বার পঠিত

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী স্কোর ২৮৩। মানমাত্রায় ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়।

পাকিস্তানের লাহোর ও করাচি যথাক্রমে  ৯৪ ও ২২৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।

একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে থাকা দেশগুলোকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে ৩০১ থেকে ৪০০ এর এর মধ্যে থাকা একিউআইকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত করা হয়। যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

একিউআই ৫টি মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে দূষণকারী-পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও,এসও২ ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের সমস্যায় জর্জরিত। এর বাতাসের মান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় বেশি এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সাধারণত বায়ুর প্রতি ঘনমিটারে অতিক্ষুদ্র ধূলিকণার মানমাত্রা ৬৫ মাইক্রোগ্রাম। তবে রাজধানীর বেইলি রোডের ব্যস্ততম সড়কে গত সোমবার দুপুরে এর মাত্রা ছিল ১৬০ থেকে ২০০ মাইক্রোগ্রাম, যা গত মাসেও ছিল সহনীয় মাত্রার কাছাকাছি। এ মাসে তা বেড়ে গেছে।

বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার সম্প্রতি সময় সংবাদকে জানান, শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় বাতাসে ধুলোর পরিমাণ বাড়ে। সেক্ষেত্রে নির্মাণ প্রকল্প আর যানবাহনের ধোয়াই এটি বাড়ার প্রধান কারণ।

তিনি আরও বলেন, যে মানমাত্রা রয়েছে পরিবেশ অধিদফতর থেকে সেটি হলো ৬৫ মাইক্রোগ্রাম; তার প্রায় তিনগুণের বেশি রয়েছে ঢাকা শহরের বায়ুমানে ধুলো। ঢাকা শহরের এরকম একটি কেন্দ্রে (বেইলি রোড) আমরা এ পরিস্থিতি লক্ষ্য করছি। মূলত যেখানে নির্মাণকাজ এবং ইটের ভাটা রয়েছে সেখানে দুষণের মাত্রা দ্বিগুণ। মূলত চলতি মাসেই রাজধানীতে বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েছে দ্বিগুণ।

এ মৌসুমে বৃষ্টি না থাকায় পুরো সময়টাতেই থাকতে হয় কুয়াশা আর ধুলোর মিশেল ধোঁয়াশায় বলেও জানান তিনি।

নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, বড় বড় মেগাপ্রজেক্ট থেকে শুরু করে আমাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে যে ভবনগুলো তৈরি হচ্ছে বা রাস্তায় যে খোঁড়াখুঁড়ি হচ্ছে; সব জায়গাতে দেখা যাবে, কোথাও কোনো আচ্ছাদন নেই, পুরো কাজ হচ্ছে উন্মুক্তভাবে। সরকারকে অবশ্যই এটা স্বাস্থ্যঝুঁকি মনে করে ধুলো দূষণটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। আর যারা মনিটরিংয়ে দায়িত্বে আছেন তাদেরও জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 shadinota.net
Design & Development By Hostitbd.Com