বিজয়ের মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মাথায় ১২৬টি দেশ বাংলাদেশকে স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের স্বীকৃতি দেয়। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে জাদুর কাঠি ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কূটনৈতিক পারদর্শিতা। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, বঙ্গবন্ধুর এ আদর্শ আজ বিশ্বব্যাপী নন্দিত।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে, একাত্তরের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয় ভুটান ও ভারত।
স্বাধীন দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পূনর্গঠনে কাজ করেন। অন্যদিকে মাতৃভূমির স্বীকৃতি আদায়ে চালিয়ে গেছেন কূটনৈতিক তৎপরতা। তিনি জানতেন, দ্রুত আর্থ-সামাজিক পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বৈদেশিক সাহায্য, ঋণ, খাদ্যশস্য ও কারিগরি সহযোগিতা নিশ্চিতে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ থাকলেও পাকিস্তানের অপ্রচারের কারণে বাংলাদেশের প্রতি বিমুখ ছিলো মুসলিম বিশ্ব, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মতো পরাশক্তিগুলো। এদের সমর্থন আদায়সহ জাতিসংঘের সদস্য পদ পেতে কূটনৈতিক কৌশল নেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
একই বছর পায় জাতিসংঘের সদস্য পদও। চীন তখনও স্বীকৃতি দেয়নি বাংলাদেশকে। সেই সময় বাণিজ্যকে সামনে নিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধু।
স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর বুকে সমাদৃত বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতাই ভিত রচনা করে স্বাধীন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির।
Leave a Reply