1. admin@kishorganjeralo.com : kishorganjeralo.com :
  2. admin@shadinota.net : shadinota net : shadinota net
ব্রেকিং নিউজ :

ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটোর জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কতটা?

  • আপডেট সময় : বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২২
  • ১১৯ বার পঠিত

পোল্যান্ডে বিস্ফোরণের পর ইউক্রেন যুদ্ধ প্রতিবেশী দেশগুলিতেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আরো বেড়ে গেল৷ সে ক্ষেত্রে সামরিক জোট হিসেবে ন্যাটোর সঙ্গে রাশিয়ার সরাসরি সংঘাত ঘটতে পারে৷

ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার পর ন্যাটো, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা বিশ্ব অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে আসছে৷ আগ্রাসনের মুখে ইউক্রেনের আত্মরক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে যতটা সহায়তা করা সম্ভব, সামরিক সাহায্য এতকাল সেই গণ্ডির মধ্যেই সীমিত রাখা হয়েছে৷ রাশিয়ার সঙ্গে ন্যাটোর সরাসরি সংঘাত এড়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সহযোগী দেশগুলি সতর্কতা অবলম্বন করে চলেছে৷ ইউক্রেনের সরকার আরও ভারি অস্ত্র ও সরঞ্জাম দাবি করেও সেই ‘সংযম’-এর বাঁধ ভাঙতে পারে নি৷ ইউক্রেনের উপর ‘নো ফ্লাই’ জোন ঘোষণা করার দাবিও মেনে নেয় নি ন্যাটো৷

কিন্তু পোল্যান্ডে সম্ভাব্য রুশ ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণের পর পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াতে পারে, সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়ে গেছে৷ আপাতত গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে৷ কিন্তু ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার লাগাতার হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভবিষ্যতেও এমন ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে কিনা, সে বিষয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে৷এমন পরিস্থিতিতে ন্যাটোর ভূমিকা নিয়ে নতুন করে তর্কবিতর্ক শুরু হয়েছে৷ রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাত এড়াতে যতটা সম্ভব সংযম দেখানোর জন্য চাপ রয়েছে৷ কিন্তু অন্যদিকে ন্যাটোর জমিতে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত হামলা ঘটলে হাতপা গুটিয়ে থেকে দুর্বলতা দেখানোও কোনো বিকল্প নয় বলে কিছু মহল মনে করছে৷ গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হবার পর থেকে ন্যাটো পূর্ব ইউরোপ ও বাল্টিক দেশগুলিতে সামরিক প্রস্তুতি অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে৷ অর্থাৎ সদস্য দেশগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তৎপরতা আগেই শুরু হয়ে গেছে৷যদি কখনো প্রমাণিত হয় যে রাশিয়া পোল্যান্ড বা অন্য কোনো ন্যাটো দেশে হামলার জন্য দায়ী, সে ক্ষেত্রে ন্যাটোর সদস্য দেশ হিসেবে সে দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে যৌথ প্রতিরক্ষা নীতির ভিত্তিতে বাকিদের সহায়তা চাইতে পারে, যা ‘আর্টিকেল ফাইভ’ নামে পরিচিত৷ সেই নীতি অনুযায়ী যে কোনো সদস্য দেশ আক্রান্ত হলে গোটা সামরিক জোট সে দেশের সামরিক সহায়তায় এগিয়ে আসতে বাধ্য৷ ১৯৪৯ সালে ন্যাটো প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই সেই সুযোগ রাখা হয়েছে৷ এখনো পর্যন্ত ২০০১ সালে তথাকথিত নাইন ইলেভেন হামলার পর শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে৷ তবে সব সদস্যের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই ‘আর্টিকেল ফাইভ’ কার্যকর করা সম্ভব৷ গত সেপ্টেম্বর মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, তাঁর দেশ ন্যাটোর প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষা করতে প্রস্তুত৷তবে চরম পদক্ষেপ নেবার আগে ঠান্ডা মাথায় গোটা বিষয়টি ভেবে দেখতে ন্যাটো সনদে ‘আর্টিকেল ফোর’-এর আওতায় এক প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা রাখা আছে৷ সেই ধারা অনুযায়ী কোনো সদস্য দেশ যদি নিজস্ব এলাকার অখণ্ডতা, রাজনৈতিক স্বাধীনতা বা নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে বলে মনে করে, তখন বাকি সব সদস্য দেশের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে৷ বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পোল্যান্ড সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে৷

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 shadinota.net
Design & Development By Hostitbd.Com