সংগীত আর সংস্কৃতির নিরলস সাধক সন্জীদা খাতুনের মহাপ্রয়াণে শোকস্তব্ধ সংস্কৃতি অঙ্গন। সকালে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তারই হাতে গড়া সংগঠন ছায়ানট প্রাঙ্গণে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাকে ভালোবাসায় শেষ বিদায় জানান। এরপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় দীর্ঘ দিনের কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।যে সুর সাধনায় ধ্যানমগ্ন থেকে আলোকিত করেছেন শতশত প্রাণ, আজ তারই তরে শেষ বারের মতো ব্যথাতুর হৃদয়ে সমবেত কণ্ঠে বেজেছে সেই সুর।
এই প্রাঙ্গণেই কাটিয়েছেন সৃষ্টিমুখর কত অনিন্দ্য ক্ষণ, নিজেকে উজাড় করে দিয়ে জ্বালিয়েছেন প্রগতীর শিখা। তাইতো তার বিদায়ে শোকের মাতম নয়, কেবল ফুল আর সুরের শ্রদ্ধা।
তাকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী আর সহযোদ্ধারা, তাই শোক প্রকাশের যেন ভাষা নেই মুখে।
তাকে নিয়ে গোলাম সারোয়ার বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অগ্রজাতায় তিনি ছিলেন বট বৃক্ষের মতো, যার ছায়ায় আশ্রয় নিয়ে বহু সংকটের মাঝেও বাঙালি খুঁজে পেয়েছে সমূহ সম্ভাবনার পথ।
স্থীর প্রত্যয়ের যাত্রী তিনি, গভীর শূণ্যতার দাগ কেটে অসীমের পানে ভাসিয়েছেন তার তরি। তবে সাংস্কৃতিক সংগ্রাম আর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে চেতনার যে বীজ তিনি বপণ করেছেন তা সংকটে পথ দেখাবে বহুকাল বললেন লেখক, গবেষক ও প্রকাশক মফিদুল হক।
Leave a Reply