বিশ্বব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাব এখন অনেকটাই কমে এসেছে। বেশিরভাগ দেশেই এখন নেই লকডাউনের মতো কঠোর বিধিনিষেধ। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে চীনে। দেশটিতে গত ছয় মাসে রেকর্ড সংখ্যক মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার।
আর তাই নতুন করে করোনা প্রতিরোধ নীতিমালা অনুসরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শুক্রবার বেইজিংয়ে নিয়মিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চাও লি চিয়ান বলেন, করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট এখনও দেখা দিচ্ছে। চীনে নতুন রোগী পাওয়া যাচ্ছে। করোনা প্রতিরোধ এখনও চ্যালেঞ্জের।
তিনি আরও বলেন, চীন ‘জিরো কোভিড নীতি’তে কার্যকরভাবে মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সমন্বয় এবং জনগণের নিরাপত্তা ও প্রাণ রক্ষায় কাজ করছে।
মুখপাত্র আরও বলেন, আজ চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন করোনা মহামারি প্রতিরোধক সুবিন্যস্ত করেছে এবং ২০টি নিয়ম প্রকাশ করেছে। এ সব নিয়ম প্রযুক্তিগত ও সঠিকভাবে মহামারি প্রতিরোধ করার জন্য, শিথিল কিংবা পুরোপুরি বাদ দেয়ার জন্য নয়। ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের বৈশিষ্ট্যের কারণে এ সব নিয়ম সুবিন্যস্ত করা হয়েছে এবং তা আবশ্যক ছিল। এ ব্যাপারে সমর্থনের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানায় চীন।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে কোভিড-১৯ এর কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে চীনের গুয়াংজু প্রদেশ। শহরটিতে নতুন করে লকডাউন দেয়া হয়েছে। এছাড়া রাজধানী বেইজিংয়েও করোনা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, এক কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার গুয়াংজুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আড়াই হাজারের ওপর লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর পরেই আকস্মিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সরকার। ওই প্রদেশের কর্তৃপক্ষ প্রায় পাঁচ লাখ বাসিন্দাকে বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করেছে। গণপরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply