কক্সবাজারের ৬০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতার বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র। দেশের সবচেয়ে বড় এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে যাবে আগামী বছরের জুনে। পরিবেশবান্ধব প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে, জেলায় মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ভূমিকা পালন করবে, বলছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রকল্প ঘিরে লোডশেডিং সমস্যা থেকে মুক্তির আশায় বুক বাঁধছেন স্থানীয়রা।
বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে দেশের সবচেয়ে বড় বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে কক্সবাজারে। যা বাস্তবায়ন করছে ইউএস ডিকে গ্রীন এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান।পরিবেশবান্ধব এই বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতায় খুরুশকুল, পিএমখালী ও চৌফলদন্ডি ইউনিয়নে নির্মাণ করা হচ্ছে ২২টি টারবাইন। যার প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ৩ মেগাওয়াট। চীন থেকে আনা ১০০ টন ধারণ ক্ষমতার ক্রেনের মাধ্যমে যা স্থাপন করা হচ্ছে ১১০ মিটার লম্বা টাওয়ারের ওপর। ২০২৩ সালের মধ্যে এটি উৎপাদনে যাবে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজার ৬০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবদুল কাদের গণি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশনে যাবার চিন্তাভাবনা রয়েছে আমাদের। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর আকাঙ্ক্ষা রয়েছে যেন আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশনে যেতে পারি সিওডির মাধ্যমে। তবে আমরা ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিশনে গিয়ে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করতে পারব।
কক্সবাজার ৬০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক এনামুল হক বলেন, কক্সবাজার জেলায় যেহেতু পাওয়ার স্টেশন নেই এজন্য আমাদের এখানে লো ভোল্টেজসহ বিভিন্ন প্রতিকূলতা আছে। এ পাওয়ার প্ল্যান্টটা যদি আমরা খুব শিগগিরই চালু করতে পারি তাহলে কক্সবাজারে লো ভোল্টেজ সমস্যা সমাধানসহ মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বিদ্যুৎ সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে, এমন আশায় বুক বাঁধছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় একজন বলেন, পর্যটন নগরী কক্সবাজার। এখানে আমরা বিদ্যুতের বিভিন্ন সমস্যা দেখতে পাচ্ছি। আরেকজন বলেন, বিদ্যুতের যে সংকটকালীন মুহূর্ত সেটা যাতে বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র দিয়ে আমাদের কক্সবাজারের সংকটটা সমাধান করা হয়।
চীনের অর্থায়নে প্রকল্পে মোট খরচ ৯০০ কোটি টাকা। যার কাজ শুরু হয় গত বছরের ৩ মার্চ।
Leave a Reply