1. admin@kishorganjeralo.com : kishorganjeralo.com :
  2. admin@shadinota.net : shadinota net : shadinota net
ব্রেকিং নিউজ :

হঠাৎ বদলে গেলো দৃশ্যপট, ঘোষণাপত্রের বদলে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২৯ বার পঠিত

কী হবে ৩১ ডিসেম্বর- সেই আলোচনা চলছিল গত দুইদিন ধরে। এরইমধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন জানিয়েছে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করতে যাচ্ছে তারা। কেন এই ঘোষণা, সাধারণ শিক্ষার্থীরাই বা কি ভাবছেন এই ঘোষণা নিয়ে এই নিয়ে একদিকে আলোচনা, আরেকদিকে গণমাধ্যমসহ সবার চোখ শহীদ মিনারের দিকে, প্রস্তুতিও সম্পন্ন। এরইমধ্যে আগের দিন ঠিক রাত ৯টার কিছু পরে বদলে গেলো দৃশ্যপট। সরকার পতনের প্রায় ৫ মাসের কাছাকাছি সময়ে এসে সরকার ঘোষণা দিলো, অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র সরকার দেবে, তবে কিছুদিন পরে।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জুলাই আন্দোলনকে ‘বিপ্লব’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা, শেখ হাসিনা শাসনামলকে ফ্যাসিবাদী শাসনামল হিসেবে প্রতিষ্ঠা, বাহাত্তর সংবিধানকে ‘মুজিববাদী’ সংবিধান আখ্যা দিয়ে তাকে বাতিল করা হবে এই ঘোষণাপত্রে। এছাড়াও গত সময়গুলোতে কতটা নির্যাতনের ফলে জনসাধারণ রাস্তায় নেমেছে, জুলাই আন্দোলনে তাদের আকাঙ্ক্ষা কী ছিল সেসবও তুলে ধরা হবে।সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেসসচিব শফিকুল আলম জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা জনগণের ঐক্য, ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা ও রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষাকে সুসংহত রাখার জন্য এ ঘোষণাপত্রটি গৃহীত হবে। গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে ঘোষণাপত্রটি প্রস্তুত করা হবে। এতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিত, ঐক্যের ভিত্তি ও জনগণের অভিপ্রায় ব্যক্ত হবে।প্রেস সচিবের ঘোষণার পর সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে জরুরি মিটিংয়ে বসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসুদ সরকার তাদের জুলাই ‘বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ গ্রহণ করেছে দাবি করে সেটিকে সমর্থন দিতে সবাইকে শহীদ মিনারে আসার আহ্বান জানান ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের মতো কাল ঢাকা শহরে আমরা একটা গণজোয়ার দেখতে পাবো। সেখান থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগকে সমর্থন জানাবো আমরা। এদেশের মানুষ সমর্থন জানাবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ ষড়যন্ত্র করে এই ‘প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভুলেশন’ এর পথ রুদ্ধ করতে না পারে। আমাদের ৭১-এর ঘোষণাপত্র আছে, ২৪-এরও হবে। সেটি সরকার করবে এবং মানুষ আগামীকাল সমর্থন জানিয়ে দিবে।

এরপর তিনি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে যান। তিনি রাস্তায় শ্লোগান দিতে থাকেন। তখনও বৈষম্যবিরোধীদের অন্য নেতাদের মধ্যে আলোচনা চলমান ছিল।

এরপর রাত ১টার পর জাতীয় নাগরিক কমিটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে শহীদ মিনারে বিকাল তিনটায় জড়ো হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তবে কর্মসূচি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনও বক্তব্য দেয়নি জাতীয় নাগরিক কমিটি। অর্থাৎ তারাও জানান, কর্মসূচি বহাল রয়েছে। সেখানে বলা হয়, আজ ৩১ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় শহীদ মিনারে দেখা হচ্ছে। ঢাকায় আসুন ছাত্র-জনতা।

ঢাকায় আসার আহ্বান জানিয়ে নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও।

পরে রাত দেড়টায় আবার ব্রিফিং করলে তিনি সেখানে উপস্থিত হন। সেসময় উপস্থিত ছিলেন অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল।

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, জুলাই-আগস্টে সংগঠিত গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আবির্ভূত জনআকাঙ্ক্ষা তথা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কায়েমের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ এক ঐতিহাসিক পটভূমিতে আবির্ভূত হয়েছে। হাজারো শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি ও জন-আকাঙ্ক্ষার দলিলস্বরূপ ‘জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র’ অত্যাবশ্যক ছিল। এই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের ঐতিহাসিক দায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপর বর্তায়। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমরা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার পক্ষে এই ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্রের প্রণয়ন ও ঘোষণার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম।

তিনি বলেন, আমাদের উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের আপামর ছাত্র-জনতার মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত ও ইতিবাচক সাড়া সঞ্চারিত হয়েছে। এমতাবস্থায় ছাত্র-জনতার আহ্বানে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছাত্র-জনতা এই সময়োপযোগী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মার্চ ফর ইউনিটি কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো। বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের প্রতি আমাদের উদাত্ত আহ্বান- আপনারা যে উদ্দীপনায় সংগঠিত হয়েছেন, তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আগামীকালের কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 shadinota.net
Design & Development By Hostitbd.Com