1. admin@kishorganjeralo.com : kishorganjeralo.com :
  2. admin@shadinota.net : shadinota net : shadinota net
ব্রেকিং নিউজ :

মাতৃভূমিতে ফেরার নতুন আশায় বুক বাঁধছেন রোহিঙ্গারা

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৪৫ বার পঠিত

গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের বিচার চান বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা। ন্যায়বিচার নিশ্চিত হলে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় গতি আসবে বলে আশা তাদের। জান্তা প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার জন্য আবেদন করায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলির প্রতি কৃতজ্ঞতারও শেষ নেই রোহিঙ্গাদের।অসংখ্য মানুষের অজানা পথ পাড়ি দেয়ার হৃদয়স্পর্শী এই মুহূর্তগুলো এখন রূপ নিয়েছে কষ্টের জীবনে। পরিণত হয়েছে দীর্ঘশ্বাসে। আশ্রয় শিবিরের কষ্টকর জীবনযাত্রায় লাখ লাখ রোহিঙ্গার দিন কাটছে ছন্দহীনভাবে। নিজ বাসভূমিতে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার স্বপ্নও হচ্ছে দীর্ঘায়িত।

অথচ বছর সাতেক আগে, প্রাণে বাঁচতে জন্মভূমির মায়া ছেড়ে নাফ নদীর এপার ওপারের কাদামাটি মাড়িয়ে রোহিঙ্গাদের এক অনিশ্চিত যাত্রায় হতবাক হয় বিশ্ব। সেনাদের নির্যাতনের ঘটনায় ওঠে নিন্দার ঝড়। সহিংস এ কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা আখ্যা দেয় জাতিসংঘ। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে আইসিসি, চলে চার বছরেরও বেশি সময়।

তদন্তের স্বার্থে আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান তিনবার পরিদর্শন করেন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প। সংগ্রহ করেন যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত। সাত বছর পর অবশেষে মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদনে নতুন আশায় বুক বেঁধেছেন রোহিঙ্গারা।ক্যাম্প-১ ডব্লিউ, ব্লক-সি এর বাসিন্দা জোহার (৩৬) বলেন, ‘আমাদের দেশে চলে যাব, এটা পুরোপুরি আশা রয়েছে। এখন তো রাখাইন হচ্ছে আগুনের গোলার মতো। তারা ২০১৭ সাল থেকে সেখানে অত্যাচার চালিয়ে আসছে জান্তারা। এখন আগুনের গোলার মধ্যে কীভাবে যাব? আমাদের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে তা বিশ্বের কারও হয়নি। বিশ্ব যদি আমাদের রাখাইনে নিরাপত্তার সঙ্গে পাঠানো ব্যবস্থা করে তাহলে যেতে পারব।’ক্যাম্প-৩ ব্লক-এ ৪ এর বাসিন্দা মোহাম্মদ জাবের (২১) বলেন, ‘ক্যাম্পে থাকা তো অনেক কষ্টের। বৃষ্টি হলে ভিজতে হচ্ছে আবার রোদের তাপে পুড়তে হচ্ছে। ক্যাম্পে কোনো বিদ্যুৎ নেই, পাখা নেই। ক্যাম্পের জীবনটা অনেক কষ্টের।’

রোহিঙ্গা নেতারা বলছেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত হলে স্বস্তি পাবে মিয়ানমারের মানুষ। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের কাছেও নিজ বাসভূমিতে ফেরাতে উদ্যোগ নেয়ার দাবি করেছেন তারা।

উখিয়ার ক্যাম্প-৩ এর হেড মাঝি ফয়েজুল ইসলাম (৪৬) বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আদালতের কৌঁসুলি করিম খান ক্যাম্পে এসে কথা বলেছে। আমরা সাত বছর ধরে আশা করে বসে আছি, অবশ্যই মিয়ানমারের জান্তা সরকার রোহিঙ্গাদের ওপর যে গণহত্যা চালিয়েছে এটার বিচার হবে। আগে ৯০ শতাংশ রোহিঙ্গা বিচার হবে আশা করেছিলেন। কিন্তু এবার ক্যাম্পে করিম এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, এখন শতভাগ রোহিঙ্গারা বিশ্বাস করেন মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হবে এবং বিচার মিলবে।

আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, ‘মিয়ানমারের জান্তা প্রধান ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট মিং অং হল্যারইংর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছেন, এর জন্য আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খানকে শুকরিয়া জানাচ্ছি। যে নিরীহ লোকজনকে হত্যা করছে, তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মুখোমুখি করানো গেলে পুরো মিয়ানমারের জনগণ শান্তি পাবে। এই সফলতার জন্য পুরো বিশ্ব একসঙ্গে সহযোগিতা করবে বলে আশা করছি।’

জোবায়ের আরও বলেন, ‘মিং অং হল্যাইং যতবড় গাদ্দারি করুক না কেন, তিনি পৃথিবীর বাইরের কেউ নন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সবাই একে অপরকে সহযোগিতা করলে তার বিরুদ্ধে দ্রুত গ্রেফতারি পরোয়ানাও বের হবে এবং গ্রেফতার করে আদালতের মুখোমুখিও করা সম্ভব।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 shadinota.net
Design & Development By Hostitbd.Com