প্রজ্ঞাপন অনুসারে, চলতি জুলাইয়ে শুরু হওয়া ব্যাংকগুলোর জন্য নতুন নিয়ম ২০২৫-২৬ অডিট বছর থেকে কার্যকর হবে।প্রথমবারের মতো তফসিলি ব্যাংকগুলোর আর্থিক নিরীক্ষার জন্য বহিঃনিরীক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘ব্যাংক কোম্পানি এক্সটার্নাল অডিটর বিধিমালা ২০২৪’ জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নিয়ম অনুসারে বহিঃনিরীক্ষকরা তফসিলি ব্যাংকের সদরদপ্তরের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যাংকের শাখাগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মোট ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের অন্তত ৮০ শতাংশ নিরীক্ষা করবেন।গতকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপন অনুসারে, চলতি জুলাইয়ে শুরু হওয়া ব্যাংকগুলোর জন্য নতুন নিয়ম ২০২৫-২৬ অডিট বছর থেকে কার্যকর হবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ১২০ ধারার আলোকে এ বিধিমালা তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিধিগুলোর প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকগুলোয় আর্থিক নিরীক্ষার জন্য পেশাদার ও দক্ষ বহিঃনিরীক্ষক নির্বাচনের শর্ত নির্ধারণ করা।
বিধিমালায় বহিঃনিরীক্ষার পরিধি সংজ্ঞায়িত করা, প্রতিবেদনে ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার যথাযথ প্রতিফলন ও বহিঃনিরীক্ষা সেবার মান নিশ্চিত করা হবে।
সব তফসিলি ব্যাংকের ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য।
তফসিলি ব্যাংকগুলো বার্ষিক সাধারণ সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত তালিকা থেকে বহিঃনিরীক্ষক বাছাই করবে।
বাছাইয়ের পরপরই ব্যাংকগুলোকে বহিঃনিরীক্ষক নিয়োগের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অনাপত্তিপত্র সনদের জন্য আবেদন করতে হবে।
তফসিলি ব্যাংকগুলোকে অডিট বছরের অষ্টম মাসের মধ্যে বহিঃনিরীক্ষক নিয়োগের সব প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
ব্যাংকগুলো সময়মত বহিঃনিরীক্ষককে প্রয়োজনীয় সব তথ্য ও নথি সরবরাহ নিশ্চিত করবে। প্রয়োজনীয় নথি সরবরাহে দেরি হলে তা নিরীক্ষা শুরু বা শেষ হতে দেরির জন্য দায়ী থাকবে।
এ ছাড়াও, বিধিমালা অনুযায়ী একই ব্যাংকে একই বহিঃনিরীক্ষক পরপর তিন বছরের বেশি নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
শর্ত না মানা হলে নির্দিষ্ট বহিঃনিরীক্ষক পরের তিন বছর সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে নিরীক্ষার কাজে অংশ নিতে পারবেন না।
Leave a Reply