1. admin@kishorganjeralo.com : kishorganjeralo.com :
  2. admin@shadinota.net : shadinota net : shadinota net
ব্রেকিং নিউজ :

এতো কীসের আন্দোলন, প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪
  • ৫৬ বার পঠিত

কোটা বাতিলের দাবিতে গত কয়েকদিন টানা আন্দোলন চলছে রাজধানীসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিতে আপিল বিভাগে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা আজ হয়নি। এতে করে আগের রায় আপাতত বহাল থাকবে।

শুনানির দিন (আজ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেছেন, রাজপথের আন্দোলন দেখে সুপ্রিম কোর্ট–হাইকোর্ট রায় পরিবর্তন করে না।

এদিন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানির জন্য (স্ট্যান্ডওভার) মুলতবি করে। এরপর হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল (নিয়মিত আপিল) করতে বলে আপিল বিভাগ।

রিট আবেদনকারীপক্ষের সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ‘নট টুডে’ (আজ নয়) বলে আদেশ দিয়েছেন।

এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল কোটা আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে এ মামলায় স্থিতাবস্থা চান।

জবাবে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, এতো কীসের আন্দোলন? সুপ্রিম কোর্ট–হাইকোর্ট কি আন্দোলন দেখে বিচার করবে? এ সময় আবারও এই মামলার স্তিতাবস্তা চাইলে আজ মামলাটির শুনানি হবে না বলে জানিয়ে দেয় আপিল বিভাগ।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।

ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন তখনকার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে সরকারি চাকরিতে (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে) কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত।

পরে এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। কিন্তু গত ৯ জুন প্রাথমিক শুনানির পর আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 shadinota.net
Design & Development By Hostitbd.Com