1. admin@kishorganjeralo.com : kishorganjeralo.com :
  2. admin@shadinota.net : shadinota net : shadinota net
ব্রেকিং নিউজ :

নতুন সাজে সেজেছে ঐতিহাসিক ‘রোজ গার্ডেন প্যালেস’

  • আপডেট সময় : শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪
  • ৫৫ বার পঠিত

একটি স্বাধীন দেশের জন্য লড়াইয়ের সূচনা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আর যেখান থেকে সেই সূচনা শুরু হয়, সেই ভবনটি হলো ‘রোজ গার্ডেন প্যালেস’। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে একটি স্বাধীন দেশ নিয়ে এসেছে দলটি। সেই আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ উপলক্ষে নতুন করে সাজানো হচ্ছে ঐতিহাসিক ‘রোজ গার্ডেন প্যালেস’।

শনিবার (২২ জুন) রাজধানীর টিকাটুলীর কেএম দাস লেনে অবস্থিত রোজ গার্ডেন প্যালেস ঘুরে দেখা যায়, ভবনে নতুন রঙেল প্রলেপ করা হয়েছে। চারপাশে চলছে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। লাগানো হয়েছে বিভিন্ন আলোকসজ্জার বাতি, ব্যানার ও পোস্টার।এ ছাড়া আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন রাখা হয়েছে নানা রকমের আয়োজন। লেজার শো থেকে শুরু করে শিল্পকলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে এই ঐতিহাসিক ভবনে। তাই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে।আলোকসজ্জা ও লেজার শোর কাজের তদারকি করা ‘মেইনস্প্রিং’য়ের সিনিয়র ম্যানেজার প্রতীক চৌধুরী বলেন, ‘আমরা পুরো ভবনটা প্রজেকশন করছি। এখানে ভিজুয়ালি আওয়ামী লীগের ইতিহাস তুলে ধরবো। এ ছাড়া শিল্পকলার সাংস্কৃতিক আয়োজনও আছে।’স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী সময়ে বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের উদারপন্থি নেতারা নিজেদের অবহেলিত মনে করছিলেন। তখন তারা মোঘলটুলিতে ১৫০ নম্বর বাড়িতে একটি কর্মী শিবির স্থাপন করেছিলেন। সেখানে তারা একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করার কথা ভাবছিলেন।

কিন্তু সেই রাজনৈতিক দলটি গঠিত হওয়ার জন্য কোনও অডিটরিয়াম পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন কে এম দাস লেনের কাজী হুমায়ুন রশীদ তার মালিকানাধীন রোজ গার্ডেনে সভা করার আহ্বান জানান। সেখানেই ২৩ জুন বিকালে ২৫০ থেকে ৩০০ লোকের উপস্থিতিতে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর প্রস্তাব অনুযায়ী সেই দলের নামকরণ করা হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’। পরে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে শুধু পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ রাখা হয়। দেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকে নামকরণ করা হয় ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’।

থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন
রোজ গার্ডেনে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পর মওলানা ভাসানীকে একটি নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করার দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি অন্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে ৪০ জনের একটি কমিটি ঘোষণা করেন।

সেই কমিটির সভাপতি হন মওলানা ভাসানী। সহসভাপতি করা হয় আতাউর রহমান খান, আহমেদ আলী খান, আলী আমজাদ খান, শাখাওয়াত হোসেন ও আবদুস সালাম খান। সাধারণ সম্পাদক হন শামসুল হক।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন কারাগারে আটক থাকলেও, আওয়ামী লীগের প্রথম কমিটিতে তাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 shadinota.net
Design & Development By Hostitbd.Com