২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ব্যক্তিপর্যায়ে করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকাই থাকছে।
জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করার সময় ব্যক্তিপর্যায়ে আয়করের প্রস্তাবনায় এ বিষয়টি উত্থাপন করেন।
সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে।
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স
বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যক্তিগত করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সর্বোচ্চ সীমা ২০০৯-১০ অর্থবছরে ছিল এক লাখ ৬৫ হাজার টাকা, যা ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। নারী, প্রবীণ নাগরিক, শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য এবং গেজেটেড যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা আরও বেশি।’
বাজেট নিয়ে সাধারণ মানুষের ভাবনা
আরও
সাধারণের বাজেট ভাবনা: উৎসাহ কম, আতঙ্ক বেশি
তিনি বলেন, ‘এতে করে স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের করভার লাঘবের ফলে জীবনযাত্রায় কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে এসেছে এবং করদাতারা নিয়মিতভাবে কর পরিশোধে উৎসাহিত হয়েছেন। আমি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদ্যমান স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা, ফার্ম ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের করমুক্ত আয়ের সীমা অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করছি।’
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী নারী ও প্রবীণ নাগরিকদের করমুক্ত আয়সীমা হবে চার লাখ টাকা, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের জন্য চার লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং যুদ্ধাহত গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য পাঁচ লাখ টাকা।
কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ শেয়ার বাজারে
আরও
১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ
এ ছাড়া, শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী শিশু বা দত্তক নেওয়া সন্তানের পিতামাতা বা আইনি অভিভাবকদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা সন্তান প্রতি ৫০ হাজার টাকা করে বাড়বে।
প্রস্তাবনা অনুযায়ী, স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা, ফার্ম ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের আয়কর হবে নিম্নরূপ—
১. সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত
২. পরবর্তী এক লাখ টাকার ওপর পাঁচ শতাংশ
৩. পরবর্তী চার লাখ টাকার ওপর ১০ শতাংশ
৪. পরবর্তী পাঁচ লাখ টাকার ওপর ১৫ শতাংশ
৫. পরবর্তী পাঁচ লাখ টাকার ওপর ২০ শতাংশ
৬. পরবর্তী ২০ লাখ টাকার ওপর ২৫ শতাংশ
৭. অবশিষ্ট টাকার ওপর ৩০ শতাংশ
Leave a Reply