সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ শিরোনামে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু পণ্য ও সেবার দাম কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পেশ শুরু হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে বিভিন্ন ধরনের পণ্যে শুল্ক ও কর হ্রাসের প্রস্তাবনা করা হয়েছে। সেই হিসেবে পণ্যের শুল্ক হ্রাস যে সব পণ্যের দাম কমতে পারে তা হলো-
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য
পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- পেঁয়াজ, রসুন, মটর, ছোলা, চাল, গম, আলু, মসুর, ভোজ্যতেল, চিনি, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ডাল, ভুট্টা, ময়দা, আটা, লবণ, গোলমরিচ, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, খেজুর, তেজপাতা, পাট, তুলা, সুতা এবং সব ধরনের ফলসহ ৩০ পণ্য। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে কিছুটা হলেও দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্যাকেটজাত গুঁড়াদুধ
প্যাকেটজাত গুঁড়াদুধ আমদানিতে করহার কমানো হচ্ছে। আড়াই কেজি ওজন পর্যন্ত গুঁড়াদুধের ওপর করহার ৮৯.৩২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫৮.৬০ শতাংশ করার প্রস্তাব আসছে। বর্তমানে গুঁড়াদুধের বাল্ক আমদানিকারকদের জন্য মোট করহার ৩৭ শতাংশ।
বিদেশি চকলেট
প্রস্তাবিত বাজেটে চকলেট আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হচ্ছে। এ কারণে সব বয়সীদের পছন্দের চকলেটের দাম কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ল্যাপটপ
প্রস্তাবিত বাজেটে ল্যাপটপ আমদানিতে মোট কর কমানো হচ্ছে। যার প্রভাবে কমতে পারে পণ্যটির দাম। আমদানিকারকদের বর্তমানে ল্যাপটপ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্কসহ মোট ৩১ শতাংশ শুল্ককর দিতে হচ্ছে। তবে আসন্ন বাজেটে মোট শুল্ককর ১০ শতাংশ কমিয়ে ২০.৫০ শতাংশ নামিয়ে আনার প্রস্তাব রয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সরকার আগে স্থানীয় প্রস্তুতকারকদের সুরক্ষা দিতে ল্যাপটপ আমদানিতে কর বাড়িয়েছিল। তবে এমন পদক্ষেপে শেষ পর্যন্ত গ্রাহকদের খরচ বেড়েছে। কারণ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ল্যাপটপের মান ও দাম নিয়ে ক্রেতারা সন্তুষ্ট নয়।
Leave a Reply