মে মাসে শুরু হচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। চার ধাপে দেশের ৪৮১টি উপজেলার নির্বাচন শেষ হবে জুনে। এরই মধ্যে দুই ধাপের ভোটের তফসিলও ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এই ভোট এবার দলীয় প্রতীকে না করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের মধ্যে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। ফলে তৃণমূলে দলীয় বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতার আশঙ্কা করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। এ ব্যাপারে বক্তৃতা-বিবৃতির পাশাপাশি সাংগঠনিকভাবে কঠোর বার্তাও দিচ্ছে দলটি।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের অর্ধডজন নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলীয় নেতাদের জন্য উন্মুক্ত থাকার পরও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনেও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। তবে চার ধাপে দেশের ৪৮১টি উপজেলার আসন্ন ভোটে বেশ কয়েকটি কারণে বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে সর্তকবার্তা দেওয়া হয়েছে।
নেতাদের মতে, শঙ্কার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে— উপজেলা নির্বাচনে নিজের অনুসারী বা কাছের প্রার্থীর পক্ষে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ, আগের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া বা জয়ী হওয়ার পর এবার সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যাওয়াদের আবার এবার প্রার্থী হওয়া, স্বতন্ত্র হিসেবে সবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা, তৃণমূল পর্যায়ে দলের ভেতরে নানা গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা, ত্যাগী নেতাদের বিপরীতে টাকাওয়ালা বা পেশিশক্তিওয়ালা নেতাদের দৌরাত্ম্য, স্থানীয় বিভিন্ন গ্রুপের নির্বাচনে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা, ভোটের প্রচার-প্রচারণায় বেশি সময় পাওয়ায় সহিংসতা বাড়ার আশঙ্কা এবং তৃণমূলে দলের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের শঙ্কা।
Leave a Reply