চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, ‘তাইওয়ান সংকটের সমাধান কীভাবে হবে, সেটা চীনই ঠিক করবে’। অন্যদিকে নিজেদের ‘সার্বভৌমত্ব’ যেকোনো মূল্যে রক্ষার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তাইপেই।
কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম কংগ্রেস রোববার উদ্বোধন করেন শি জিনপিং। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, তাইওয়ানে শক্তিপ্রয়োগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না চীন। স্বশাসিত এই দ্বীপটিকে চীনের এলাকা মনে করে বেইজিং।
শি বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা এবং প্রচেষ্টার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলনের সম্ভাবনার ওপর জোর দিচ্ছি। তবে, আমরা শক্তির ব্যবহার পরিত্যাগ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নই এবং প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণের সম্ভাবনাই মাথায় রাখছি।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পুনর্মিলন ও জাতীয় পুনরুজ্জীবনের ঐতিহাসিক প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে। পুনর্মিলন অবশ্যই অর্জন করতে হবে এবং পুনর্মিলন অবশ্যই অর্জিত হবে।’
শি এর বক্তব্যের পরপরই প্রতিক্রিয়া এসেছে তাইওয়ানের পক্ষ থেকে। তাইপেই ঘোষণা দিয়েছে, নিজেদের সার্বভৌমত্ব তারা বিকিয়ে দেবে না, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের ব্যাপারে আপোস করবে না।
তাইওয়ানের রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, দুই পক্ষকেই তাওয়ান প্রণালী এবং অঞ্চলটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় জোর দিতে হবে এবং যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া এর কোনো বিকল্প নয়।
এদিকে প্রেসিডেন্ট শি ‘চীনা জাতির পুনরুজ্জীবন’ আরও এগিয়ে নিতে দ্রুত সামরিক ও প্রযুক্তিগত উন্নতির আহ্বান জানিয়েছেন। শি বলেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সামরিক শাখা পিপলস লিবারেশন আর্মিকে ‘চীনের মর্যাদা এবং মৌলিক স্বার্থ রক্ষা করতে হবে’। বিভিন্ন অঞ্চলে নৌ-বিরোধ এবং অন্যান্য বিষয়গুলির একটি তালিকা তুলে ধরেন তিনি। বেইজিং যে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে, দিয়েছেন সে ইঙ্গিতও।
দক্ষিণ চীন সাগর এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে নিজেদের অধিকার নিয়ে জাপান, ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে চীনের।
Leave a Reply