পাসপোর্ট অফিসে আসা মানুষের ‘উ’ শব্দটিও শুনতে চাই না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মাসুদ আলম: [২] স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পাসপোর্ট অফিসে আসা মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে হবে। আপনারা যত সেবা দিবেন ততই আপনাদের সুনাম বাড়বে।

[৩] রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) আফতাবনগরের পাসপোর্ট অফিসের সামনে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ঢাকা পূর্ব (আফতাবনগর) ও ঢাকা পশ্চিম (মোহাম্মদপুর) এবং পাসপোর্ট বাতায়নের (কল সেন্টার) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

[৪] নতুন উদ্বোধন হওয়া অফিসের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, এই নতুন দুটি পাসপোর্ট অফিস থেকে জনগণ সুবিধা পাবে এবং সেবা গ্রহণ করবে।

[৫] আসাদুজ্জামান খান বলেন, ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন যে, বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল দেশ হিসেবে গড়ে তুলবেন। এ ঘোষণার পর থেকে আমরা এমআরপি পাসপোর্ট হাতে নিলাম। এমআরপি হাতে নিয়ে আমরা অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছিলাম। সব প্রতিবন্ধকতা সামলে তখন এমআরপি চালু হয়েছিল। এরপর আমরা ই-পাসপোর্টের জগতে পা রাখি।

[৬] তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাত্রা শুরু করেছি। ই-পাসপোর্ট এবং ইমিগ্রেশনের ই-গেট স্মার্ট বাংলাদেশের একটি ইঙ্গিত বহন করছে। এছাড়া খুবই দ্রুত ই-ভিসাও চালু হতে যাচ্ছে। আমরা প্যাসেঞ্জার অ্যাডভান্স ইনফরমেশনও চালু করতে যাচ্ছি। যদিও এটি আমাদের মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নয়, সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে প্যাসেঞ্জার অ্যাডভান্স ইনফরমেশন চালুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এটা চালু হলে কোনো যাত্রী টিকিট কাটলে আমরা জানতে পারবো কে বাংলাদেশে আসছেন বা কে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাচ্ছেন।

[৭] তিনি আরও বলেন, দেশের যে প্রান্তে গিয়েছি সেখানেই প্রধানমন্ত্রী জয়-জয়কার। এই দেশের মানুষ মনে করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প শুধুমাত্র শেখ হাসিনা।

[৮] ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজির আহমেদ, ঢাকা-১৩ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না