সবার জন্য আন্তর্জাতিক মানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ইস্যু করতে চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, সে জন্যই এনআইডির দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সংসদে সংশোধিত জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিল উত্থাপনের সময় এ কথা বলেন তিনি।
বিলে বলা হয়েছে, জন্মের পরপরই একজন নাগরিক পাবে জাতীয় পরিচয়পত্র। তার বয়স আঠারো হলে সেই নম্বরটি অন্তর্ভু্ক্ত হবে ভোটার তালিকায়। অর্থাৎ এনআইডি পেতে নাগরিককে পরিচয় নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন পেতে আবেদন করতে হবে একজন নিবন্ধকের কাছে। তিনি প্রত্যেক নাগরিককে একটি নম্বর দেবেন। সেটিই আইডি নম্বর হিসেবে সবখানে ব্যবহার হবে। এমন বিধান রাখা হয়েছে সংশোধিত জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিলে।
এ ছাড়া বিলে এনআইডি-সংক্রান্ত যাবতীয় অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
এ বিলটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে উত্থাপন করলে আপত্তি জানান বিরোধী দলের এমপি ফখরুল ইমাম। তাদের মতে, নির্বাচন কমিশনই এ কাজে বেশি দক্ষ। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তা নাকচ করেছেন।
পরে বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয় পাঁচ কর্মদিবসের জন্য। গেল ১২ জুন মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিলটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
উথ্থাপিত বিলে আরও বলা হয়েছে, নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তসাপেক্ষে দেশের প্রত্যেক নাগরিক জাতীয় পরিচয়পত্র ও নম্বর পাবেন। সরকার এজন্য একজন নিবন্ধক নিযুক্ত করবে। এই নিবন্ধক জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা, পরিচয়পত্র প্রস্তুতকরণ, বিতরণ ও রক্ষণাবেক্ষণ সহ আনুষঙ্গিক সব দায়িত্ব পালন করবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য-উপাত্তের সংশোধনের প্রয়োজন হলে আবেদন করে সংশোধন করা যাবে।
অপরাধ ও শাস্তির বিষয়ে বিলে বলা হয়েছে, যদি কেউ জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে ইচ্ছে করে কোনো মিথ্যা তথ্য দেয় বা তথ্য গোপন করে, তাহলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। অপরাধের শাস্তি হিসেবে এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আর যদি কোনো নাগরিক একের বেশি জাতীয় পরিচয়পত্র নেন, তাহলেও তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। এ অপরাধের জন্য এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
বিলে তথ্য-উপাত্ত বিকৃতসংক্রান্ত অপরাধের বিষয়ে বলা হয়েছে, যদি কোনো সংশ্লিষ্ট কর্মচারী জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা পরিচয়পত্র প্রস্তুতকরণ, বিতরণ ও রক্ষণাবেক্ষণসংক্রান্ত দায়িত্ব পালনরত কোনো ব্যক্তি ইচ্ছা করে জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কোনো তথ্য-উপাত্ত বিকৃত বা বিনষ্ট করেন তিনি এই আইনের অধীনে অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে। অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ড বা অনধিক এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আবার যদি কোনো ব্যক্তি জাতীয় পরিচয়পত্র জাল করলেও একই শাস্তি পাবেন।
সবার জন্য আন্তর্জাতিক মানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ইস্যু করতে চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, সে জন্যই এনআইডির দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সংসদে সংশোধিত জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিল উত্থাপনের সময় এ কথা বলেন তিনি।
বিলে বলা হয়েছে, জন্মের পরপরই একজন নাগরিক পাবে জাতীয় পরিচয়পত্র। তার বয়স আঠারো হলে সেই নম্বরটি অন্তর্ভু্ক্ত হবে ভোটার তালিকায়। অর্থাৎ এনআইডি পেতে নাগরিককে পরিচয় নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন পেতে আবেদন করতে হবে একজন নিবন্ধকের কাছে। তিনি প্রত্যেক নাগরিককে একটি নম্বর দেবেন। সেটিই আইডি নম্বর হিসেবে সবখানে ব্যবহার হবে। এমন বিধান রাখা হয়েছে সংশোধিত জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিলে।
ইসি থেকে এনআইডি যাচ্ছে স্বরাষ্ট্রেইসি থেকে এনআইডি যাচ্ছে স্বরাষ্ট্রে
এনআইডি স্বরাষ্ট্রে গেলে রাজনৈতিক ব্যবহারের শঙ্কা: সিইসিএনআইডি স্বরাষ্ট্রে গেলে রাজনৈতিক ব্যবহারের শঙ্কা: সিইসি
এ ছাড়া বিলে এনআইডি-সংক্রান্ত যাবতীয় অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
এ বিলটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে উত্থাপন করলে আপত্তি জানান বিরোধী দলের এমপি ফখরুল ইমাম। তাদের মতে, নির্বাচন কমিশনই এ কাজে বেশি দক্ষ। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তা নাকচ করেছেন।
এনআইডি স্বরাষ্ট্রে গেলে ভোটে সমস্যা, মন্ত্রিপরিষদকে ইসিএনআইডি স্বরাষ্ট্রে গেলে ভোটে সমস্যা, মন্ত্রিপরিষদকে ইসি
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ই পাচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্রের দায়িত্ব, জন্মের পরই মিলবে এনআইডিস্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ই পাচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্রের দায়িত্ব, জন্মের পরই মিলবে এনআইডি
এনআইডি ইসির অধীনে রাখতে ফের স্মারকলিপিএনআইডি ইসির অধীনে রাখতে ফের স্মারকলিপি
পরে বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয় পাঁচ কর্মদিবসের জন্য। গেল ১২ জুন মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিলটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
উথ্থাপিত বিলে আরও বলা হয়েছে, নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তসাপেক্ষে দেশের প্রত্যেক নাগরিক জাতীয় পরিচয়পত্র ও নম্বর পাবেন। সরকার এজন্য একজন নিবন্ধক নিযুক্ত করবে। এই নিবন্ধক জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা, পরিচয়পত্র প্রস্তুতকরণ, বিতরণ ও রক্ষণাবেক্ষণ সহ আনুষঙ্গিক সব দায়িত্ব পালন করবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য-উপাত্তের সংশোধনের প্রয়োজন হলে আবেদন করে সংশোধন করা যাবে।
অপরাধ ও শাস্তির বিষয়ে বিলে বলা হয়েছে, যদি কেউ জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে ইচ্ছে করে কোনো মিথ্যা তথ্য দেয় বা তথ্য গোপন করে, তাহলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। অপরাধের শাস্তি হিসেবে এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আর যদি কোনো নাগরিক একের বেশি জাতীয় পরিচয়পত্র নেন, তাহলেও তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। এ অপরাধের জন্য এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
বিলে তথ্য-উপাত্ত বিকৃতসংক্রান্ত অপরাধের বিষয়ে বলা হয়েছে, যদি কোনো সংশ্লিষ্ট কর্মচারী জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা পরিচয়পত্র প্রস্তুতকরণ, বিতরণ ও রক্ষণাবেক্ষণসংক্রান্ত দায়িত্ব পালনরত কোনো ব্যক্তি ইচ্ছা করে জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কোনো তথ্য-উপাত্ত বিকৃত বা বিনষ্ট করেন তিনি এই আইনের অধীনে অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে। অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ড বা অনধিক এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আবার যদি কোনো ব্যক্তি জাতীয় পরিচয়পত্র জাল করলেও একই শাস্তি পাবেন।
বিলে আরও বলা হয়েছে, বিনা অনুমতিতে কোনো ব্যক্তি তথ্য-উপাত্তে প্রবেশ করলে বা বেআইনিভাবে তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করলে তিনি এই আইনে অপরাধ করেছেন বলে গণ্য করা হবে। এ অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। নিবন্ধন কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মচারী বা উহার প্রতিনিধির অপরাধের জন্য একই শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
সোমবারের অধিবেশনে দর্শক গ্যালারিতে দেখা যায় সাবেক রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদকে। যিনি দীর্ঘ দিন সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন।
Leave a Reply