আবারও সামনে এলো তিস্তার পানি বণ্টন প্রসঙ্গে। এ ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে সংলাপ শুরুর পরামর্শ দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। আর দিল্লির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ঢাকা। একে সমস্যা সমাধানে আশার সঞ্চার হিসেবে দেখছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামির অবস্থান জানা থাকলেও তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে না।
বছরের পর বছর কূটনৈতিক তৎপরতার পরও যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাশেদ চৌধুরী ও কানাডা থেকে নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।
সরকারের অভিযোগ, আন্তরিক নয় বলেই বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের ফিরিয়ে না দিয়ে আইনি জটিলতার কথা বলছে দেশ দুটি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গে সর্বোচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে সরকার।
ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানান, তিস্তা ইস্যুতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদনকে স্বাগত জানায় ঢাকা। এতে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে সংলাপ শুরুর সুপারিশ করা হয়েছে। এটি সমস্যা সমাধানে আশার সঞ্চয় করছে বলেও মনে করছে মন্ত্রণালয়।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে কংগ্রেস সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ঢাকা সফরে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। সেই সফরের আগে দুই দেশের পানিসম্পদমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এই চুক্তির বিষয়ে দুই পক্ষ একমত হয়েছিল। চুক্তির নথিও চূড়ান্ত করে ফেলেছিল দুই দেশ।
সেই শীর্ষ বৈঠকে মনমোহনের সঙ্গে মমতারও ঢাকায় আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি না আসায় গুঞ্জন ছড়ায়, তারপর দেখা গেল তিস্তা চুক্তি আর হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিরোধিতার কারণে ২০১১ সালে শেষ মুহূর্তে আটকে যায় তিস্তা চুক্তি।
https://www.itvbd.com/95785
Leave a Reply