স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘আপনারা নির্বাচনে আসুন। মানুষের কাছে আপনাদের কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা আছে, তা নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করুন। নির্বাচনে পরীক্ষা হয়ে যাবে, কার কতটুকু শক্তি আছে। কার কতো ভোট আছে, তা প্রমাণ হয়ে যাবে।’

রোববার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাহিদ মালেককে দেওয়া এক বিশাল গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির উদ্দেশে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আপনারা সংগঠন মানেন না, সংবিধান মানেন না। আপনারা অসাংবিধানিকভাবে কথা বলেন। নির্বাচনে আসুন, পরীক্ষা হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিএনপির উদ্দেশে আরও বলেন, ‘করোনার সময় আপনারা কোথায় ছিলেন? মানুষ যখন কষ্টে থাকে, তখন আপনাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। করোনার সময় সাধারন মানুষ আপনাদের দেখতে পায়নি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার সময় দেখেছি, জামায়াতের সঙ্গে থেকে স্বাধীনতার যুদ্ধের বিরোধিতা করে গেছেন। আপনারা জামায়াতকে এমপি বানিয়েছেন, মন্ত্রী বানিয়েছেন। আপনারা শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা করেছেন। আপনারা দেশকে দেউলিয়া করে দিয়েছেন। এই দেশকে আপনারা কখনো আপন করে নিতে পারেননি। এখন আপনারা হুমকি দেন, আওয়ামী লীগকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেবেন।’

আওয়ামী লীগ সরকার করোনার সময় ৫০ হাজার কোটি টাকার টিকা বিনামূল্যে বাংলাদেশের মানুষকে দিয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনাকালীন সেই সময়ে যারা সমালোচনা করেছিলেন, তারা এখন কোথায়? আপনারা বলেছিলেন, প্রতিদিন বাংলাদেশে ৫ হাজার লোক মারা যাবে। আপনারা বলেছিলেন, চিকিৎসা দিতে পারবে না। আমি তাদের বলতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ চিকিৎসা পেয়েছেন। ভ্যাকসিন পেয়েছেন, যেটা আপনারা দিতে পারেননি।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘উন্নত দেশ আমেরিকাও ৫০ ভাগের বেশি ভ্যাকসিন দিতে পারেনি। আমরা বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে পেরেছি। আমরা প্রতিটি মানুষকে হাসপাতালের বেডে চিকিৎসা দিতে পেরেছি। ইউরোপ, ইতালিতে মানুষকে ট্রেন্টের মধ্যে ফেলে রেখে চলে গেছে। তাদের ওখানে হাজার হাজার, লাখ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। বাংলাদেশের এই ধরণের চিত্র হয়নি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলোতে ২০ হাজার বেড তৈরি করা হয়েছিল। যেখানে দেশে একটি মাত্র ল্যাব ছিল, সেখানে আট শ ল্যাব আমরা করতে পেরেছিলাম।’

মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি ও পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী কামরুল হুদা সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক তায়েবুর রহমান টিপু ও কাজী এনায়েত হোসেন টিপু।

এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা লীগের সভাপতি মৃদুলা রহমান, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান জনি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবুবকর সিদ্দিকী তুষার, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কোরাইশী সুমন ও সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম প্রমুখ।