প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে। ভবিষ্যতেও করে যাবে। আমি আমার বাবার কাছ থেকে যা শিখেছি, যা দেখেছি সেগুলো মেনেই দেশের মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করি।
বুধবার (১৯ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন বাস্তবায়নের অনন্য স্বীকৃতস্বরুপ ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সম্মাননা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকারের হাতে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারও তুলে দিয়েছেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছে। সেটি সম্ভব হয়েছে আমাদের সুষ্ঠু কর্ম পরিকল্পনায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্যই এই বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি। আমার সঙ্গে যেন মন্ত্রণালয়গুলোর যোগাযোগ থাকে, সে চিন্তা থেকে এ পদ্ধতি নেওয়া। আপনারা (সচিব) অনেক পরিশ্রম করছেন, তার ফল পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমাদের ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা আছে। দেশের জনসংখ্যাও অনেক বেশি। আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদা নিয়ে এগিয়ে গেলে অসাধ্য সাধন করা যায়। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১-এর মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়া। সে লক্ষ্যেই এখন এগিয়ে যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দুর্নীতিকে দূরে ঠেলে কাজের প্রতি আন্তরিক থাকতে হবে। সবাইকে নিজের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে হবে। তবেই দেশ আরও এগিয়ে যাবে। বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি খাদ্য সংরক্ষণের দিকেও আমাদের নজর দিতে হবে।
Leave a Reply