রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে দেশের নানা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়ায় আন্দোলনে নামে জ্বালানো আগুনের লেলিহান শিখা। সেই সময় আগুন সন্ত্রাসের শিকার মানুষের আর্তনাদে ভারি হয়ে ওঠে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। প্রতিষ্ঠানটির বার্ন ইউনিট উপচে পড়ে রাজনীতির আগুনে পোড়া নানা বয়সের মানুষে।
শুধু যানবহন নয়। পুলিশ ফাঁড়ি থেকে শুরু করে নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত স্কুল-কলেজও আগুনে পুড়িয়ে দেয় তারা। আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদেরও।
এসবের মাঝেই সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং গণতন্ত্র সচল রাখতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় দেশের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তবে নির্বাচনের পরেও অব্যাহত থাকে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির আগুন সন্ত্রাস। রাজধানী ঢাকাকে পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার এই অপপ্রয়াসে জীবিকা হারান বহু মানুষ। চাপ বাড়ে অর্থনীতির ওপর। এক পর্যায়ে জীবন না জীবিকা- এমন প্রশ্নের মুখে রুখে দাঁড়ান সাধারণ মানুষ। অবরোধের মধ্যেই পথে নামেন তারা। যোগ দেন কাজে। ঘুরতে থাকে যানবহানের চাকা। ব্যর্থ আন্দোলনে রাজনীতির অর্জনের খাতায় কী যুক্ত হয়েছে সেই প্রশ্ন অমীমাংসিত থাকলেও, খুনে আগুনে খেলার এই সহিংসতা দেশের মানুষকে দিয়েছে তীব্র ভীতি।
নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে সহিংস আগুন সন্ত্রাস করে ২০১৪ সালে সাধারণ মানুষের কছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি। কিন্তু ফল হয় অত্যন্ত খারাপ। মাত্র ছযটি আসন পায় দলটি। এরপর থেকে আবারও আন্দোলনের মাঠে তারা। কিন্তু এই দফায় বড় ধরনের সহিং
এরই অংশ হিসেবে গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর হাইস্কুল মাঠে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কবরস্থানে’ পাঠানোর হুমকি দেন।
সতা না করলেও নানা রকম উসকানিমূলক অরাজনৈতিক বক্তব্য অব্যাহত রেখেছেন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
Leave a Reply