বুধবার (২৯ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত জাতীয় ভূমি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভূমি অফিস পোড়ানোর ফলে অবশ্য একটা লাভ হয়েছিল, ইউনিয়ন পর্যায়ের ভূমি অফিসের দুরবস্থা প্রকাশ্যে এসেছিল। পরে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার ভূমি অফিসগুলোর সংস্কার করে সেবার মান বৃদ্ধি করে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশে ভূমি নিয়ে সামাজিক-পারিবারিক ছাড়াও নানান সমস্যা দেখা দেয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকার গঠনের পরই সর্বোচ্চ ২৫ বিঘা পর্যন্ত ভূমির কর মওকুফ করেন। পাকিস্তান আমলে ভূমির যত সার্টিফিকেট মামলা ছিল, সব মামলা বাতিল করেন বঙ্গবন্ধু। সেই সঙ্গে ভূমিহীনরাও যেন জমি পায় গুচ্ছগ্রামের মাধ্যমে তার ব্যবস্থা করেন।’
এ বছর দেশে প্রথমবারের মতো ভূমি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা তুলে ধরার পাশাপাশি ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশনের ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জসমূহ খুঁজে বের করে তা মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে ২৯ থেকে ৩১ মার্চ তিন দিনব্যাপী এই জাতীয় ভূমি সম্মেলন আয়োজন করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
Leave a Reply