গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দেশের প্রথম পাতাল রেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। এসময় তিনি বলেন, দেশের অগ্রগতি কেউ রুখতে পারবে না।
দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-১ এর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশের সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামো খাতের সবচেয়ে আধুনিক প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপের উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এটা সম্ভব হয়েছে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে এ পর্যন্ত গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে বলেই। এই গণতন্ত্র আছে বলেই বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছে। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ইনশাল্লাহ ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আরেকটি মাইলফলক পাতাল রেল। হোলি আর্টিজানে হামলার পরও জাপান সহযোগিতা করেছে বলেই মেট্রোরেলের বিভিন্ন রুট নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে।
তিনি বলেন, পাতাল রেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আরেকটি মাইলফলক স্থাপিত হল এবং পাতাল রেলে বাংলাদেশের নবযাত্রা শুরু হল।
সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, দেশ আরো এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের এই অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি আর কেউ রুখতে পারবে না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।
বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে সরকার প্রধান বলেন, জনগণ সঙ্গে থাকলে কেউ কিছুই করতে পারবে না।
তিনি বলেন, আপনারা আস্থা রাখতে পারেন (আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা) যে জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। কারণ, আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। কাজেই, জনগণ যতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন-সংগ্রাম করে কেউ কিছু করতে পারবে না।
খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষিতে ভর্তুকি দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন বিদ্যুতে নয়। বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
Leave a Reply