ইতালির রাজধানী রোমে শুক্রবার (২৩ মে) ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পঞ্চম দফার বৈঠকের পরেও নিজ নিজ অবস্থানে অটল দুই দেশ। তবে, এবারের আলোচনায় বেশ কিছু নতুন প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে বলে জানায় ওমান। যা নিয়ে দেশগুলোর রাজধানীতে আলোচনার কথা রয়েছে।
আলোচনার পর আলোচনা হলেও মিলছে না সমাধান। অথচ যোগ হচ্ছে নিত্যনতুন শর্ত। সৃষ্টি হচ্ছে একের পর এক বিতর্ক। ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু চুক্তি বিষয়ে পঞ্চম দফা বৈঠকেও মেলেনি কার্যকর সমাধান।
আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী ওমান জানায়, এবারের বৈঠকে কিছু নতুন প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে। যেগুলো নিয়ে এখন দুই দেশের রাজধানীতে মূল্যায়ন হবে। সেই অনুযায়ী নির্ধারিত হবে পরবর্তী বৈঠকের সময়। তবে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, দুই-তিনটি বৈঠকে এই জটিল সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
রোমের ওমানি দূতাবাসে পাঁচ দফা আলোচনার শেষ দিনে আরাঘচি বলেন, এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সবচেয়ে পেশাদার বৈঠকগুলোর একটি। তিনি আরও জানান, ইরান তার নীতিগত অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষেও বিষয়গুলো আরও পরিষ্কার বলে মনে করছেন তারা।
ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি বলেন, নতুন করে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার দরজা খোলা হয়েছে। তবে একতরফাভাবে চাপে ফেলে কিছু আদায় করা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, ওয়াশিংটনও নিজ অবস্থানে অটল। মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ সরাসরি বলেন, ইরানকে ৬০ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিও সীমিত রাখতে হবে।
ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি বলেন, নতুন করে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার দরজা খোলা হয়েছে। তবে একতরফাভাবে চাপে ফেলে কিছু আদায় করা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, ওয়াশিংটনও নিজ অবস্থানে অটল। মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ সরাসরি বলেন, ইরানকে ৬০ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিও সীমিত রাখতে হবে।
এই দাবিকে ‘অতিরিক্ত ও অন্যায্য’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে ‘অমানবিক ও বেআইনি’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
ইরান বলছে, তারা পরমাণু চুক্তি মেনে চলতে চায়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে বিশ্বাসযোগ্য প্রতিশ্রুতি পেলে তবেই তারা এ পথে এগোবে। বিশেষ করে, ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন যে একতরফাভাবে চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে এমনটাই দাবি তাদের।
Leave a Reply