শারীরিক অবস্থার পরিবর্তনের কারণে আবারও ২৯ ডিসেম্বরের যাত্রা পিছিয়ে দিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে জানুয়ারির প্রথমার্ধে লন্ডনে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন এ কথা জানান। এদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।ডা. জাহিদ বলেন, ‘মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শক্রমে ইনশাআল্লাহ জানুয়ারির প্রথমার্ধে ওনাকে ইউকে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। যদিও সঠিক তারিখ এখন পর্যন্ত নির্ধারিত হয়নি। যথাসময়ে সেটি (নির্ধারিত তারিখ) আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।’এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলা ট্রিবিউনকে ২৯ ডিসেম্বরে যাত্রার কথা জানিয়েছিলেন। তার আশা ছিল সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ওইদিন খালেদা জিয়া লন্ডন যেতে পারেন।

অধ্যাপক জাহিদ জানান, মেডিক্যালের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত একটি বিমানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী লন্ডন যাবেন। তার সঙ্গে চিকিৎসকদের একটি টিম, পরিবারের কয়েকজন সদস্য এবং চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তারাও যাবেন।খালেদা জিয়া প্রথমে লন্ডনে যাবেন তার ছেলে তারেক রহমানের কাছে। সেখানে কয়েক দিন অবস্থানের পর যুক্তরাষ্ট্র যাবেন লিভার জটিলতার চিকিৎসার জন্য।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডে পূর্ব বাল্ডিমোরে বিশ্বখ্যাত জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসাও নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

২০২৩ সালের আগস্ট মাসে এই হাসপাতালের তিন জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রফেসর ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডস, প্রফেসর জেমস পিটার অ্যাডাম হ্যামিলটন ও প্রফেসর আবদুল হামিদ আহমেদ আব্দুর রব ঢাকা এসে এভারকেয়ার হাসপাতালে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেন। তারা বিএনপি চেয়ারপারসনের লিভারের রক্তনালিতে সফল অস্ত্রোপচার করেন।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস ছাড়াও দীর্ঘদিন যাবৎ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। হৃদরোগ, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের নানা জটিলতা রয়েছে তার। ২০০২ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তার তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। পরে এর একটিতে রিং পরানো হয়।