আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের কারণে এ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতায় ব্যয় কমাতে হবে। তাই খরচ কমানোর জন্য আয়োজন হবে সাদামাটা। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন তিনি।
এ সময় শেখ হাসিনা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই বিএনপি আজ আন্দোলন করতে পারছে। কিন্তু বিএনপির যারা খুনের সঙ্গে জড়িত, অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত তাদের ধরতে হবে। তাদের কোনো ছাড় নেই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ওপর মানুষের আস্থা রয়েছে বলেই তিনবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে; এবারও দেবে। কিন্তু যারা সন্ত্রাসী, খুনি, জনগণের অর্থ লুটপাটকারী, বোমা-গেনেড হামলাকারী ও অর্থপাচারকারী জনগণ তাদের বিশ্বাস করে না, ভোটও দেবে না।
দুই ঘণ্টা বৈঠক শেষে গণভবন থেকে বেরিয়ে আসেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণের কথা জানান। এ ছাড়া আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের মহাসমাবেশের কথা জানান।
কাদের বলেন, আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে মহাসমাবেশ করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন আগামী ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এবার একদিনে জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। দিনব্যাপী এ সম্মেলনে সকালে উদ্বোধনী পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। বিকেলে কাউন্সিল অধিবেশন হবে অর্থাৎ নেতৃত্ব নির্বাচন পর্ব। এরপর সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে।
কাদের আরও বলেন, ২২তম জাতীয় সম্মেলন সফল করতে বেশকিছু উপ-কমিটি করা হয়েছে। পরে কমিটির সদস্যদের নাম জানিয়ে দেয়া হবে।
বৈঠকে যোগ দিতে বিকেল সাড়ে তিনটায় গণভবনে প্রবেশ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরুল্লাহ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ ও বাহাউদ্দীন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্যরা।
Leave a Reply