বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চের দেয়া এক রায়ে একথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এই রায়ে হাইকোর্ট বলেন, ‘গনমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এটা গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ।গণতন্ত্র ও আইনের শাসন রক্ষায় সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বিকার্য। এটা বলতে দ্বিধা নেই যে, আইন সাংবাদিকদের সংবাদের উৎস (সোর্স) প্রকাশ না করার ক্ষেত্রে সুরক্ষা দিয়েছে।’
তবে হলুদ সাংবাদিকতা অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে হাইকোর্ট তার রায়ে বলেন, ‘সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে গণমাধ্যমের আরও মনোযোগী হওয়া উচিত।’
গত বছরের ২ মার্চ দৈনিক ইনকিলাবে “২০ কোটিতে প্রকৌশলী আশরাফুলের দায়মুক্তি! দুর্নীতি দমনে দুদক স্টাইল” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সে প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনা হলে আদালত রুল জারি করে দুর্নীতি দমন কমিশনের নথিপত্র তলব করেন। পাশাপাশি প্রতিবেদককে তার তথ্য উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করতে নির্দেশ দেন। সে ধারাবাহিকতায় আজ শুনানিতে দুদক আইনজীবী ইনকিলাবের প্রতিবেদনকে ‘মাফিয়া জার্নালিজম’ বলে প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ চান। অন্যদিকে ইনকিলাবের প্রতিবেদকের পক্ষের আইনজীবী সংবিধানে থাকা সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতার বিষয় সামনে আনেন। এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় সোর্স প্রকাশ না করার নীতির কথা তুলে ধরেন। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে রুল নিস্পত্তির নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন। সে রায়টি ২৩ অক্টোবর প্রকাশিত হয়।
আদালতে ইনকিলাবের প্রতিবেদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
Leave a Reply