রোববার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ন্যাপ-ভাসানী ও পিপলস লীগের নেতাদের সঙ্গে সংলাপ শেষে তিনি একথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপি লাশের রাজনীতি করে না; বরং জনগণের দাবি আদায়ের জন্য লাশ হওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে আমরা আন্দোলন করি। লাশ যদি আন্দোলনের হাতিয়ার হয়, তাহলে বিএনপির প্রায় হাজারখানেক মানুষকে খুন-গুম করা হয়েছে। সাম্প্রতিক আন্দোলনে গত কয়েক মাসে আমাদের পাঁচজন সহকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। লাশের কি অভাব আছে? কিন্তু আমরা লাশের রাজনীতি করি না।’
‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চিন্তা বিএনপিকে ভুলে যেতে হবে’–ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ভুলে গেলে ওনাদের সুবিধা হয়। কিন্তু মনে রাখা উচিত, তাদের সুবিধার জন্য আমরা রাজনীতি করি না। আমরা বাংলাদেশের জনগণের সুবিধার জন্য রাজনীতি করি। আর বাংলাদেশের মানুষের সুবিধা হবে দেশে নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন হলে।’
প্রথমে ন্যাপ-ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম এবং পরে পিপলস লীগের সভাপতি গরীবে নেওয়াজের নেতৃত্বে দলদুটির নেতাদের সঙ্গে সংলাপে বসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় নজরুল ইসলাম খানও উপস্থিত ছিলেন।
ন্যাপ-ভাসানীর অন্য সদস্যরা হলেন: আকমন হোসেন, নুরুল আমিন, মহসিন তফাদার, আজিজুল হক, ছাইফুল ইসলাম, লুতফর রহমান, শাহীন আলম, মো. সাকীব ও মো. আল আমীন। অন্যদিকে পিপলস লীগের প্রতিনিধি দলের বাকি সদস্যরা হলেন: সৈয়দ মাহবুব হোসেন, দুলাল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, শাহিন হোসেন, খন্দকার সুমন ও তামিম হোসেন।
Leave a Reply