বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গোটা বাংলাদেশের মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুর দিকে দৃষ্টি দিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষের অস্তিত্ব রক্ষায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার দরকার, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য এ সরকার খুবই জরুরি।
রোববার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক ফোরামের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও বর্তমান প্রেক্ষাপট শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাধীনতার পর যারা ক্ষমতায় ছিল তাদের কারণে দেশে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য এককভাবে আওয়ামী লীগ দায়ী। আওয়ামী লীগ ৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার নীল নকশার অংশ হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে।
আওয়ামী লীগের দুশাসন ব্রিটিশ, পাকিস্তানি ও এরশাদের দুশাসনকে ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন ফখরুল।
বিআরটি প্রকল্প প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প গলার কাঁটা বলায় ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ করা উচিৎ। কারণ এই প্রকল্প আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না: মির্জা ফখরুল
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে যেকোনো নাগরিক প্রশ্ন তুলতে পারেন। সংবিধান লঙ্ঘন করে তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে বিএনপির দাবি যৌক্তিক, এতে সংবিধানের ব্যত্যয় হবে না।
তিনি আরও বলেন, কলুষিত সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়, তা গাইবান্ধায় প্রমাণ হয়ে গেছে।
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। সংবিধানে গণতন্ত্র থাকলেও বর্তমান সরকারের অধীনে দেশে গণতন্ত্র নেই।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিচারকের রায়ে আরও ২ বার থাকার কথা থাকলেও সে রায় সরকার বাস্তবায়ন করেনি। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আরও দুইবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আসতে পারে বলে জানান তিনি।
এসময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ডাবল স্ট্যান্ডার্ডে বিশ্বাস করে, যা তারা মুখে বলে তা তারা বিশ্বাস করে না।
Leave a Reply