এতে বলা হয়, রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আজ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এর আগে বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রঘোষিত নতুন ভিসা নীতির ব্যাখ্যা দিয়েছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নতুন এই ভিসানীতির ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে চ্যানেল আইয়ের অনুষ্ঠান তৃতীয় মাত্রায় যোগ দেন তিনি। অনুষ্ঠানে ভিসানীতির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেন এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করছে বা এ কাজে সহযোগিতা করছে এমন যে কোন বাংলাদেশীকে ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বিধি নিষেধ আরোপ করবে।
তৃতীয় মাত্রায় তিনি বলেন, এটা খুব পরিষ্কার যে আমরা এখনো কারও ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করিনি। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বর্তমানে আমাদের নতুন নীতি করা প্রয়োজন। যে নীতির মাধ্যমে, বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত বা ক্ষতিসাধন করছে এমন ব্যক্তিকে ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। তারা হতে পারেন: সরকারের কোন ব্যক্তি, বিচার বিভাগের বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ অথবা বিরোধী দলের কোন সদস্য।
ডোনাল্ড লু আরো বলেন, এই নীতি সরকার বা বিরোধীদলের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য। যেমন বিরোধীদলের এমন কাউকে যদি পাই যিনি সুষ্ঠু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে সহিংসতায় জড়িত বা ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন তবে তার ভিসা ইস্যুর ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ দেওয়া হবে। তেমনি সরকারি দলের কেউ বা আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কোন সদস্য যদি সহিংসতা, ভোটারদের স্বাধীনতা ভয়ভীতি দেখানো অথবা বাক স্বাধীনতা হরণে জড়িত থাকেন তাকেও যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করতে দেওয়া হবে না।
Leave a Reply