ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ইউরোপের উদ্যোগে এ মানববন্ধনে অংশ নেন বেলজিয়াম, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, হল্যান্ড, আফগানিস্তানসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার সংগঠন, প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আয়োজকরা বলেন, বিশ্বে যাতে গণহত্যা বন্ধ হয়, সে জন্য এই স্বীকৃতি খুব প্রয়োজন।
এক আয়োজক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস মাথায় রেখে বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে যা যা হয়েছে, সেগুলো গণহত্যার মধ্যে পড়ে। কিন্তু আমরা দেখছি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এখনও এমন কাজ হচ্ছে। এগুলোর একটা স্বীকৃতি প্রয়োজন। যেন প্রতিবাদের জায়গা, বিচারের জায়গা তৈরি হয়।’
আরেক আয়োজক বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশ গণহত্যা অর্থাৎ ১৯৭১ সালে যা হয়েছিল, বিশ্ব আজও সেটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। এই স্বীকৃতি আদায় করার জন্য আমরা এখানে জড়ো হয়েছি। সেই সঙ্গে বিশ্বে আর কখনো কোনো গণহত্যা যাতে না হয়, সেই দাবি নিয়ে এসেছি।’
আরেকজন বলেন, ‘১৫টি দেশ থেকে একত্রিত হয়েছি ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রধান কার্যালয়ের সামনে। আমাদের সবচেয়ে বড় দাবি–১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যে ধরনের গণহত্যা হয়েছে, তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় গণহত্যা। কিন্তু বিশ্ব এখনও এটিকে স্বীকৃতি দেয়নি।’
আয়োজক কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘আমরা আজ সবাই বিভিন্ন স্থান থেকে একত্রিত হয়েছি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী যে গণহত্যা করেছে তার স্বীকৃতি আদায়ে আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি।’
মানববন্ধনের পাশাপাশি ইউরোপীয় কমিশনে স্মারকলিপি প্রদান, গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি শীর্ষক আলোচনা ও সংবাদ সম্মেলন হয়।
Leave a Reply